ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

যমজ বিচ্ছিন্নের অস্ত্রোপচার লাইভ দেখল স্বজনেরা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) জোড়া লাগানো অপূর্ণাঙ্গ যমজের অস্ত্রোপচার শেষ হয়েছে।সোমবার সকাল সোয়া ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এ অস্ত্রোপচার করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের মেডিকেল টিম এই অস্ত্রোপচার করেন।

পুরো অস্ত্রোপচারটি হাসপাতালে সরাসরি সম্প্রচার বা লাইভ দেখানো হয়। শিশু মোহাম্মদ আলীর এই অস্ত্রোপচার বাইরে বসে দেখেন তার মা হীরামনি ও বাবা মো. জাকারিয়া।

গণমাধ্যমকর্মী, হাসপাতালের রোগীর স্বজন ছাড়াও দর্শনার্থীরা সরাসরি এই অস্ত্রোপচার দেখার সুযোগ পান।

সেখানে শিশুটির মা হীরামনি বলেন, ‘আশা করছি, ছেলে ভালো হয়ে যাবে। আবার আমি আমার ছেলেকে কোলে নিতে পারব।’

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত ৭ মার্চ বাগেরহাটের মো. জাকারিয়ার স্ত্রী হীরামনি যমজ সন্তানের জন্ম দেন।

এদের একটি পূর্ণাঙ্গ শিশু থাকলেও সঙ্গে জোড়া লাগানো আরেকটি শিশু অপূর্ণাঙ্গ। তার মাথা, বুক ও দুই হাত নেই। অপূর্ণাঙ্গ শিশুটি তার অর্ধেক শরীর নিয়ে পূর্ণাঙ্গ শিশুর সঙ্গে যুক্ত।

অস্ত্রোপচার শেষে এক ব্রিফিংয়ে বিএসএমএমইউয়ের ভিসি অধ্যাপক কামরুল হাসান খান বলেন, ‘অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। আশা করছি, শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠবে।’

অস্ত্রোপচারের নেতৃত্বে থাকা অধ্যাপক মো. রুহুল আমিন বলেন, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এ ধরনের শিশুকে ‘কনজেনিটাল প্যারাসাইটিক টুইন’ বা জোড়া অপূর্ণাঙ্গ যমজ বলা হয়।

তিনি বলেন, যমজ শিশুটির অস্ত্রোপচার বেশ জটিল ছিল। তার কিডনি আলাদা করা ও রক্তনালির প্রবাহ ঠিক রাখা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা আপাতত সফল হয়েছি। তাকে হাসপাতালের নবজাতক বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত শিশুটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই শিশুর চিকিৎসার সব খরচ বহন করবে বলে জানিয়েছে।

পাঠকের মতামত: